
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা। একই সঙ্গে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত ‘মিথ্যা অভিযোগ’, ‘প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত’ এবং ‘দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদ জানান।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে এমদাদুল হক বাদশা বলেন—
“আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও হেয় করার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানাই—বহিষ্কারাদেশটি তদন্তসাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কেন বহিষ্কৃত হলাম—সে বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি, কোনো কারণ দর্শানো হয়নি, এমনকি কোনো নোটিশও পাঠানো হয়নি। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ আমি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে রাজপথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করে গেছি।”
বাদশা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন— “চট্টগ্রামের কোনো থানায়, আদালতে বা জিডিতে যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আমি আজীবনের জন্য রাজনীতি ছাড়ব।”
তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ৫৮টি মামলা হয়েছে, ১০ বার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু কখনো চাঁদাবাজি বা দখলবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এখন শুধুমাত্র দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও গ্রুপিংয়ের কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত ১২ জুলাই ২০২৫, এমদাদুল হক বাদশাকে যুবদল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়, একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বাদশা দাবি করেন, এই তদন্ত ছিল একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন..
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পরিবারের সদস্যসহ মহানগর ও থানা যুবদলের একাধিক সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
তাসমিনা হক নিম, মিসবাহ উল হক, মিরাজ উল হক, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, জিয়াউল হক মিন্টু, মো. ইদ্রিস, শেখ কামাল আলম, মো. জসিম, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, সাব্বির ইসলাম ফারুক, ইসমাইল হোসেন লেদু, মো. সেলিম, মো. হাসান, মো. আবদুল জলিল, মো. জাকির হোসেন, জাবেদুল হক, মো. ওসমান গনি, মো. আলমগীর, রাসেল করিম রাসেল, সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, শফিউল বাসার সাজু, ওমর ফারুক রানা, মো. সাইফুল্লাহ, মো. রহিম মিনু, মোস্তফা আলম কিশোর, মিজানুর রহমান, মো. শরীফ, মো. মহসিন, সালাউদ্দিন বাপ্পি, ইনজামামুল হক প্রমুখ।