
চলতি বছর (২০২৫) হজ ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ সাশ্রয় হওয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করা প্রায় ৫ হাজার হাজির মধ্যে ৪ হাজার ৯৭৮ জন হাজিকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এই তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে বাড়ি ভাড়া কমাতে সক্ষম হওয়ায় প্রতিটি হাজির কিছু অর্থ বেঁচে গেছে। সেই অর্থ হজ থেকে ফিরে আসা হাজিদের অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, বেঁচে যাওয়া অর্থের পরিমাণ একজন হাজির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হজ মিশনের পক্ষ থেকে সৌদি আরবে সময়মতো বাড়ি বুকিং, যাতায়াত খরচ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় কমানোর ফলে এই সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও আগাম পরিকল্পনার কারণেও ব্যয় হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আরও জানান, ২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে এখন থেকেই কাজ শুরু করেছে সরকার।
তিনি বলেন, “সেবার মান আরও বাড়াতে এবং হাজিদের জন্য সহনীয় ব্যয় নির্ধারণ করতে আমরা আগেভাগেই সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করব।”
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করেছেন: প্রায় ৫ হাজার হাজি ফেরত পাচ্ছেন: ৪ হাজার ৯৭৮ জন মোট ফেরত অর্থ: ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা সর্বনিম্ন ফেরত: ৫,৩১৫ টাকা সর্বোচ্চ ফেরত: ৫৩,৬২৪ টাকা।