
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। শহীদরা বুকের রক্ত দিয়ে একটি বৈষম্যহীন, সন্ত্রাসমুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর।”
রবিবার (২০ জুলাই) কানাডার টরন্টোর বাংলাদেশ কানাডিয়ান কমিউনিটি সেন্টারে কানাডা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, “শহীদদের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা আদায়ের মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো সম্ভব। তাদের রক্ত শুধু স্মৃতি নয়, এটি আমাদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বেই দেশে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”
আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিএনপিপন্থী নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত বলেন, “রাষ্ট্র মেরামতের জন্য বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, সেটিই প্রকৃত সংস্কারের রূপরেখা। নির্বাচিত হয়ে এই দফাগুলোই বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। অতীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে বিএনপি বহু সংস্কার করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপিকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে বিএনপি সামনে এগিয়ে চলেছে এবং এগিয়ে যাবে।”
আলোচনা সভায় কানাডা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন:
অন্টারিও বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. কামরুল হুদা সোহেল,কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক খান,কানাডা বিএনপি পূর্ব শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,সহ-সভাপতি ডা. আবু ফাত্তাহ,চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন,পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার রেজাউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন ইসলাম,বিএনপি নেতা ডা. মাহবুব আলম, ডা. আজমির হোসেন, দিদারুল আলম,যুবদল নেতা রাহেল প্রমুখ।
আলোচনা সভাটি শেষ হয় জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির ধারাবাহিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্তের মধ্য দিয়ে।