
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যস্ততম উপ-শহর সাতকানিয়ার কেরানীহাট ,আগামী ৩১ শে জুলাই কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর ত্রি-বার্ষিক (২০২৫-২০২৮) নির্বাচন । ব্যবসায়ীদের এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো কেরানীহাট ।
প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা, প্রতিদিন ভোটারদের দরজায় উকি দিচ্ছে বিভিন্ন পদে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা। আশ্বাস দিচ্ছেন কেরানীহাটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের , পুরানো প্রার্থীদের পাশাপাশি এবারে বেশ কয়েকজন নতুন প্রার্থী ও যোগ হয়েছে, সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক লোক ব্যবসা করতে আসেন এই কেরানী হাটে, ব্যবসায়ীদের কাছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কেরানীহাট বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
সাতকানিয়ার পাশাপাশি লোহাগাড়া এবং দোহাজারী সহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন কেরানীহাটে যাতায়াত ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের,এখানে বিশাল কাঁচা বাজার, স্কুল, মাদরাসা ,বিভিন্ন মার্কেট, হাসপাতাল , এবং বিভিন্ন ব্যাংক থাকার কারণে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে বাজার সদাইসহ বিভিন্ন কাজে।
আবার এই কেরানী হাটে রয়েছে ত্রিমুখী সড়ক, এখান থেকে চট্টগ্রাম ,কক্সবাজার, বান্দরবান যাওয়ার ত্রিমুখী স্টেশন এই কেরানীহাট।
কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি ,এতে মোট সদস্য রয়েছে ২২৯০ জন,এবারে মোট ভোটার থাকবে ১৪৭০ জন, বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩১ জন,প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সভাপতি পদে ৪ জন,সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৩জন,সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন,অর্থ সম্পাদক পদে ৩জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩জন,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২জন,ধর্মীয় ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সম্পাদক পদে ৩জন,সদস্য/পরিচালক পদে ৭জন সহ ৩১ জন নির্বাচন অংশ নিবেন।
কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক সভাপতি মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, কেরানীহাটের এই বাজার সমিতিতে ২০০৯ সাল থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যখন দায়িত্ব নিয় তখন সমিতির ফান্ড ছিল মাত্র তিন লক্ষ টাকা, বর্তমানে সেটি কোটি টাকার উপরে তিনবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি ,একবার সভাপতি হিসেবে ।
কেরানীহাট ব্যবসায়ীদের জন্য সব সময় নিজেকে কাজে লাগিয়েছি, যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমি ব্যবসায়ীদের পাশে ছিলাম ,পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য নালার কাজ চলমান রয়েছে, এছাড়া কেরানীহাটকে সুন্দরভাবে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে, ব্যবসায়ীরা আমাকে ভোট দিয়ে পূর্ণরাই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করলে কেরানী হাটের অসমাপ্ত যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সঠিক সময়ে শেষ করতে পারবো বলে আশাবাদী।
সেক্রেটারি প্রার্থী ও সাবেক অর্থ সম্পাদক সোলাইমান বাবুল বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই কেরানীহাট থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ,টোকাই ,নির্মূল করব ।কেরানীহাটের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, এছাড়া প্রশাসনের সাথে কথা বলে কেরানীহাটের যানজট নিরসনে কাজ করব, কেরানীহাটে এখনো পর্যন্ত কোন গণশৌচাগার হয়নি, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ,এখানে গণশৌচাগার অত্যন্ত প্রয়োজন ,তাই গণশৌচাগার করার উদ্যোগ নেব। এছাড়া ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, আগামী ৩১শে জুলাই ব্যবসায়ীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী হব এমনটাই প্রত্যাশা ।