
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা (প্রোপাগান্ডা) না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের পোর্ট, এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং তা আমাদের কাছেই থাকবে।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের একটি কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন।
ড. সাখাওয়াত বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই, নিজেদের মধ্যে পড়ে থাকতে চাই না। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দরকার। এজন্য আন্তর্জাতিক অপারেটর আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে আমাদের হাতেই।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিটি (নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল) নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। যারা ১৭-১৮ বছর ধরে এনসিটিতে কাজ করেছেন, তারা খারাপ করেননি। তবে আমরা আরও দক্ষতা (ইফিশিয়েন্সি) বৃদ্ধির লক্ষ্যেই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। এনসিটি বর্তমানে ইন্টারিম পিরিয়ডে ড্রাইডককে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নেভিও আছে। এতে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, এটি বড় অগ্রগতি।”
বন্দরের ট্যারিফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৯৮৬ সালের পর ট্যারিফ আর বাড়ানো হয়নি। অথচ তখনকার এক টাকার মূল্য আজকের সঙ্গে তুলনীয় নয়। ট্যারিফ বৃদ্ধি মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্ত নয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের আলোচনার ভিত্তিতে তা হয়েছে। এখনো এই বন্দরের ট্যারিফ মোংলার চেয়েও কম এবং বিশ্বের অন্যান্য মূল পোর্টের তুলনায়ও অনেক কম।”
উল্লেখ্য, সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই। আমি চট্টগ্রামের বাসিন্দাও নই। সবকিছু হচ্ছে দেশের স্বার্থেই।”