বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

হান্নান মাসউদের বন্দরে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক, ছাত্রদলের তীব্র প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | বার্তা টুডে
  • সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদকে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়াকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, “হান্নান মাসউদ কি বন্দর পরিচালনার বিষয়ে এক্সপার্ট? দেশে কি আর কোনো পেশাদার লোক ছিল না?”

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশগ্রহণ করে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

নাছির উদ্দীন বলেন, “একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যেখানে দক্ষ ব্যবস্থাপনা, অভিজ্ঞতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন—সেখানে হান্নান মাসউদের মতো একজন রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? তার কি শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার বা বন্দরের কার্যক্রম বোঝার অভিজ্ঞতা আছে?”

তিনি আরও বলেন, “দেশে কি এমন কেউ ছিল না যিনি পেশাদার, দক্ষ এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন? অথচ এমন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো যার অতীত নিয়েই জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যারা বিভিন্ন জায়গায় অনিয়ম করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এমনকি হত্যাকাণ্ডে পর্যন্ত জড়িত ছিল—তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে?”

তিনি দাবি করেন, এসব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং পুরস্কৃত করা হচ্ছে বিতর্কিতদের—এতে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হান্নান মাসউদকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এ সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রশাসনের দলীয়করণের অংশ বলেও মন্তব্য করছেন।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনায় পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বারবার দেখা যাচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যক্তিদের বসানো হচ্ছে যাদের দক্ষতা ও প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সেই জনমতেরই প্রতিফলন, যেখানে রাজনৈতিক নিয়োগের পরিবর্তে পেশাগত যোগ্যতা ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠে আসছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো খবর