
জাগ্রত জুলাই স্মরণে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেউড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হলো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ভাবগানের আসর। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সারাদেশের ৮টি আধ্যাত্মিক স্থানে কাওয়ালী, মুর্শিদী ও ভাবগানের আয়োজনের অংশ হিসেবেই এ আয়োজন করা হয় খুলনা বিভাগের জন্য কুষ্টিয়ায়।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকাল পাঁচটায় লালন আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি আলোচনা সভা দিয়ে শুরু হয়। আলোচনায় অংশ নেন কবি ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ রোমেল, কুষ্টিয়ার শিল্পকলার কালচারাল অফিসার সুজন, শহীদ পরিবারের সদস্য সিমা খাতুন, লোকমান হোসেন, সুজন ফারাজী, সোহাগ, লাবনী আক্তার ইতি ও ফাহিমা।
আহতদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম, নাজমুস শাকিব এবং আবু হানিফ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মো. সাজেদুর রহমান বিপুল।
শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের জীবনের নানা দুর্ভোগ, অবহেলা ও অধিকার বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, জুলাই আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাস শুধু স্মরণ নয়, এর উত্তরাধিকার রক্ষা করাও জরুরি।
অনুষ্ঠানের ভাবগানের অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান (ডিসি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
সন্ধ্যায় কালিগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত লালন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। অন্ধকারে আলোর রেখা এঁকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত জনতা।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন,
“বাংলাদেশের মানুষ এখন রাজনীতিকে নতুনভাবে গ্রহণ করছে। তারা আর স্বৈরাচারকে জায়গা দেবে না। আমরা সাধারণ মানুষের দল, যারা রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেই মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
তিনি জানান, জুলাই উপলক্ষে এনসিপি মাসব্যাপী “৩৬ জুলাই পদযাত্রা” চালিয়ে যাচ্ছে। সব বাধা উপেক্ষা করে, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে তারা অবিচল থাকবে।