
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার পদ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ সিদ্ধান্তকে “ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক” বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “আমি বিএনপির একজন আদর্শিক কর্মী। দলের প্রতি সবসময় আন্তরিক ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক চিঠিতে তাকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মদদ ও এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে পদ স্থগিত করা হয়েছে, যা তিনি জোরালোভাবে অস্বীকার করেন।
গিয়াস কাদের দাবি করেন, রাউজানে আওয়ামী প্রভাবিত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাকে টার্গেট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজ করেছি, বরং বারবার কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছি।” তিনি জানান, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিঠি দিয়েছিলেন, যেটিকে উল্টো ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তিনি একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যে তদন্তের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি পক্ষপাতদুষ্ট। আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।”
চেয়ারপারসনের প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ষড়যন্ত্রমূলক গোষ্ঠীর অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং আমার রাজনৈতিক মর্যাদা পুনঃস্থাপন করা হবে।”
এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রতি সত্য তুলে ধরার আহ্বান জানান, যেন একজন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের শিকার না হন।