
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রোগতত্ত্ব ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, চট্টগ্রামে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ৭৫.২৯ শতাংশে পৌঁছেছে—যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান ২০ শতাংশ। বাসাবাড়িতেও লার্ভার উপস্থিতি ৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এ অবস্থায় দেশের জাতীয় ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগরীতে কার্যকর ও সমন্বিত মশকনিধন অভিযান এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এখনো আগের মতোই ঢিলেঢালা। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চেষ্টা করলেও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় কার্যক্রম গতি পায়নি। ফলে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন সিটি’ এখন শুধু বিলবোর্ডের স্লোগান হয়ে আছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষার সরকারি সুযোগ না থাকায় মানুষ প্রাইভেট ল্যাবগুলোতে বেশি খরচে পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে। করোনাকালের মতো এবারও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগকে পুঁজি করে পকেট কাটার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তারা সরকারের প্রতি দ্রুত বিনামূল্যে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা, সিটি করপোরেশনের মশকনিধন কর্মসূচি জোরদার করা এবং সমন্বিতভাবে স্থানীয় প্রশাসন, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনসহ নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর আহ্বান জানান।
৩১ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, যুব ক্যাবের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, কলামিস্ট মুসা খান, আবু মোশারফ রাসেল ও সাঈদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।