
ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম পুরোধা নুরুল আবছার চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবনের লুসাই হলে গ্রিন গ্লোবাল ফেলোশিপের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন কাদেরী শওকত।
তিনি বলেন, “নুরুল আবছার চৌধুরীর মতো ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষ আজকের সমাজে বিরল। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের সংগ্রামী সৈনিক, যাঁর আদর্শ ও পথনির্দেশনা বর্তমান প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই চট্টগ্রাম শহরের একটি প্রধান সড়কের নাম তাঁর নামে নামকরণ করা হোক।”
গ্রিন গ্লোবাল ফেলোশিপের চেয়ারম্যান কামরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মরহুমের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী তাঁর পিতার রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, পাকিস্তান আমলে নুরুল আবছার ছিলেন ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪ সালের সার্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নুরুল আবছার চৌধুরী শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি ছিলেন সমাজ ও মানবতার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক ব্যক্তি। তাঁর অবদান চট্টগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বক্তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নিকট তাঁর নামে সড়ক নামকরণের দাবি জানান।
দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক এম আবুল আব্বাছ কাদেরী, স্বপ্নযাত্রার সেক্রেটারী মো: রকিব উদ্দিন চৌধুরী, নয়া বাংলার সম্পাদক জিয়াউদ্দিন এম এনায়েত উল্লাহ, এ আর রহমান গ্রুপের এমডি মানিক রাসুল মো: রাইছু, এডভোকেট আবদুল গফুর, সাংবাদিক এম হোসেন ও তানভীর, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা ওসমান কাসেমী, মাওলানা আবদুচ ছোবহান, থিয়েটার ইনস্টিটিউটের রিপন কুমার বড়ুয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।