মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

“তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষে হোক” — চার কোটি নতুন ভোটারের উদ্দেশ্যে বার্তা

বার্তা টুডে ডেস্ক
  • সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২০

দেড় দশকে যুক্ত হওয়া প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার যেন এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে— এই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “তোমরা ভোটার হয়েও ভোট দিতে পারোনি, কারণ ফ্যাসিবাদ চক্র তোমাদের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”

ঢাকার শাহবাগ চত্বরে ছাত্রদলের আয়োজিত “জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে” আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার ছাত্রদল নেতাকর্মী, ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগ মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক এবং আশপাশের রাস্তাগুলো নেতাকর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে ছাত্রদল।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন, তাদের মধ্যে ছিলেন: মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র নেতারা: টুকু, আলিম, রতন, হেলাল, শ্রাবণ, হাবিব প্রমুখ।

তারেক রহমান বলেন— “আজ আমি একটি বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে, ছাত্র সমাজকে। মন দিয়ে শোনো—তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক। এই আহ্বান এখন থেকে তোমাদের সকলের।”

তিনি বলেন, “গত দেড় দশকে প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছে, কিন্তু তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সেই সুযোগ এসেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এই অধিকার পুনরুদ্ধারের হাতিয়ার।”

তিনি ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন— “তোমাদের কাজ শুধু স্লোগান দেওয়া নয়, শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তোলো। শহীদদের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব তোমাদের হাতেই থাকব”

তারেক রহমান বলেন, “আমরা চাই দক্ষতা ও কর্মসংস্থানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। স্কুল পর্যায় থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা চালু করব।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত হয়েছিল। এখন সময় এসেছে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার।”

তিনি ঢাবি ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “হলগুলোর খাবার ও আবাসন সংকটের তথ্য ও লিখিত প্রস্তাব বিএনপির নিকট উপস্থাপন করো। আমরা সেটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নেব।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থার পুনরুত্থান না ঘটে—সেজন্য শিক্ষার্থীদেরই সজাগ থাকতে হবে।”

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও ভাষা দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

“আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যা একজন মায়ের চোখে যেমন স্বপ্নময়, নিরাপদ ও সম্ভাবনাময়—তেমনই হোক। যেখানে নবীন ও প্রবীণ একসঙ্গে দেশ গড়বে।”

তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন শাখা ও অঞ্চলকে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সমস্যা নিয়ে দলগতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন এবং সেই রিপোর্ট দলের নীতিনির্ধারণী মহলে পৌঁছে দিতে বলেন।

এই সমাবেশ থেকে বিএনপির তরুণ নেতৃবৃন্দ একটি বার্তা নিয়ে ফিরে যান—ভোটের মাধ্যমে অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষেই দিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো খবর