
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী সাতকানিয়া পাইলট হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল ইসলামের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দফা জানাযা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন কালিয়াইশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর কর্মস্থল সাতকানিয়া পাইলট হাই স্কুল মাঠে। এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় বাদে জোহর কালিয়াইশ মিয়া খলিলুর রহমান জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে। ইমামতি করেন আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা জামাল উদ্দিন।
দাফনের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন-সহকর্মী-শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মাহমুদুল হাসান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৪৮ বছর বয়সী শহিদুল ইসলাম ছিলেন সাতকানিয়ার ক্রীড়াঙ্গনের সুপরিচিত মুখ। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১১ নম্বর কালিয়াইশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন।
কয়েক মাস আগে তাঁর দেহে ক্যান্সার ধরা পড়লে কলকাতার টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। শেষ পর্যন্ত ২ আগস্ট তিনি সেখানেই ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে একনিষ্ঠতা ও খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।