
চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে ৫ আগস্টের পর থেকে—এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ অধ্যায়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “সরকার ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সংস্কার প্রক্রিয়ার সকল কাজ শেষ করতে চায়। ইতোমধ্যে ১২১টি সুপারিশের মধ্যে ১৬টি বাস্তবায়ন হয়েছে, ৮৫টি সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে, ১০টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বাকি ১০টি সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য কি না—তা নিয়ে আলোচনা চলবে।”
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে অভিনন্দন জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ ইস্যুতে কূটনৈতিক দক্ষতা দেখানোর জন্য।
এছাড়াও ‘মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি’-তে নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর স্মরণে একটি পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। এই পুরস্কারটি শিক্ষা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মাননায় প্রদান করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, “শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করা হবে এবং সরকার নিশ্চিত করবে যাতে তিনি ন্যায়বিচার পান।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “সরকারের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়—জনগণের আস্থা অর্জন করে একটি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও এর বড় চ্যালেঞ্জ।”