
প্রায় ৪৫ বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে গড়ে ওঠা হিলভিউ আবাসিক এলাকা বর্তমানে নগরের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে ৩০০টির বেশি ভবন এবং নির্মাণাধীন রয়েছে আরও শতাধিক ভবন। এসব ভবনে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক মানুষ বসবাস করছেন।
ভূমির ইতিহাস অনুযায়ী, হিলভিউ আবাসিক এলাকার জমি কখনোই সরকারি খাস সম্পত্তি ছিল না। আরএস, পিএস এবং বিএস জরিপ অনুযায়ী জমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হিসেবেই রেকর্ডভুক্ত।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাবেক প্রধান বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ দেশের বহু খ্যাতনামা ও সম্মানিত ব্যক্তি এ এলাকায় প্লট মালিক এবং বাসিন্দা।
দালিলিক ভিত্তি:
১. আরএস খতিয়ান নং-১৪৯১ অনুযায়ী, অবলা সুন্দরী দেবীর নামে জমি রেকর্ড হয়।
২. ১৯৬৪ সালে মিস মামলা ৫২৪/৩১৮-১৯৬২-৬৩ অনুযায়ী, পিএস খতিয়ান নং-১৯ সৃজিত হয় মোছাঃ আনজুমান্ননেসা এর নামে।
৩. বিএস খতিয়ান ১৮০৫ হিলভিউ হাউজিং কোং লিমিটেডের নামে প্রকাশিত হয়।
৪. ২০০৫ সালে নামজারী ও খাজনা স্থগিতের বিরুদ্ধে রিট মামলা নং ৬২৯৬/২০০৫ দায়ের হয়।
৫. ২০১০ সালের হাইকোর্ট রায়ে সহকারী কমিশনার কর্তৃক নামজারী স্থগিত ও খাজনা বন্ধ রাখা অবৈধ ঘোষণা হয়।
৬. এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নামজারী ও খাজনা আদায়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
৭. একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করে রায় বাস্তবায়ন ব্যাহত করতে চাইলেও চূড়ান্তভাবে তা খারিজ হয়।
৮. সর্বশেষ, আপীল মামলা নং-৮৯/২০২৩ হাইকোর্টে খারিজ হলে, ২০২৫ সাল নাগাদ ২০০টির বেশি নামজারী নিষ্পত্তি করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় শুরু হয়েছে।
এমতাবস্থায়, হিলভিউ আবাসিক এলাকার জমির বৈধতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারনা বন্ধ হওয়া জরুরি। এটি একটি দীর্ঘ ও সুস্পষ্ট দালিলিক ইতিহাসসমৃদ্ধ আবাসিক এলাকা, যার ওপর আস্থা রাখা যেতে পারে।