চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলায় ২০ দিনের বিষাক্ত সাপের কামড়ের ২ কিশোর-কিশোরী মৃত্যু হয়েছে। সাপে কামড়ালে ওঝা বা বেদে-বেদেনীদের কাছে না গিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
মৃতরা হলেন- ১৯ জুলাই উপজেলার পরৈকৌড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্তরহাট ভিংরোল গ্রামের মুনতা মুনছুর মাহি (১১), গত শনিবার (২ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির নাঈমা আকতার (১৩)।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান- এখনও অনেক মানুষ সাপে কাটার পর প্রথমে ওঝা বা বেদে-বেদেনীদের কাছে যান, যা একেবারে ভুল। এতে মূল্যবান সময় নষ্ট হয় এবং বিষক্রিয়া মারাত্মক রূপ নেয়, ফলে প্রাণহানি ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষের অ্যান্টিভেনম রাখা আছে ২ জনের।কারো শরীরে বিষের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত এন্টিভেনম ইনজেকশন দেওয়া যায়।অ্যান্টিভেনম দেওয়ার পরে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করা হয়।এতে রোগী উন্নত চিকিৎসা পেলে বাঁচানো সম্ভবনা থাকে। কিছু কিছু লোক এন্টিভেনম ইনজেকশন দেওয়া ভয় পেয়ে নিজ থেকে রোগীকে শহরে নিয়ে যায়।এতে মাঝ পথে অনেক রোগী মারা যায়। বিষক্রিয়ার লক্ষণ রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হলেও রোগীর স্বজনরা রোগীকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। রোগী পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে না নেওয়াই উত্তম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর কাছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাপে কামড়ানোর চিকিৎসা দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সাপের কামড়ের চিকিৎসার ঔষধ (এন্টিভেনম) আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিষধর সাপ থাকে না। এধরনের রোগীদের আমরা ২৪-৭২ ঘন্টা ভর্তি রেখে সুস্থ হলে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
অল্প কিছু ক্ষেত্রে বিষধর সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে আসেন। এদের মধ্যে অনেকে বিলম্বে আসার কারণে বাড়িতে বা পথে মারা যায় অথবা খুবই মূমুর্ষ অবস্থায় জরুরী বিভাগে আসেন। এদের আমরা নিশ্চিত হয়ে এন্টিভেনম দিয়ে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় এন্টিভেনম দেয়ার সময় বা সুযোগ পাওয়া যায় না।তিনি আরো জানান কাউকে সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।