
চট্টগ্রামের বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে পুনরায় অধ্যক্ষ পদে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অধিদপ্তরের পরিদর্শন (চট্টগ্রাম বিভাগ) শাখা থেকে স্মারক নং ৫৭.২৫.০০০০.০০০.০১০.০৫.০০০১.১৮.৯৮৬ এর মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বিষয় হিসেবে উল্লেখ রয়েছে— “চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম-এর চাকরিতে পুনরায় যোগদান প্রসঙ্গে।”
অফিস আদেশে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বরখাস্তের অভিযোগে অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ২২ মে ২০২৫ তারিখে অধিদপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে ৬ জুন ও ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখের দুটি স্মারকের প্রেক্ষিতে তদন্তভার দেওয়া হয় পরিদর্শক (প্রশিক্ষণ ও শারীরিক শিক্ষা) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, জহিরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১ নভেম্বর বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন এবং এমপিওভুক্ত হন (ইনডেক্স নং-৩১৬৬৯৪)। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১৫ জুন ২০১১ তারিখের আদেশ অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে বিনা বেতনে ৫ বছরের ছুটি নেওয়ার সুযোগ ছিল।
কিন্তু গভর্নিং বডি সেই ছুটি মঞ্জুর না করে নানা অজুহাতে তাকে বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় আদালতের রিট পিটিশন নং-৩৬৫৭/২০১৫ এর রায়ে বলা হয়, কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখলে তিনি পূর্ণ বেতন-ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গভর্নিং বডির সভাপতিকে “বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের” নির্দেশ দিয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক বছর চাকরিচ্যুত থাকার পর পুনর্বহালের নির্দেশ পেয়ে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “মূলত আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় পর হলেও ন্যায় বিচার পেয়েছি।”