
কনটেইনার জটের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ধারনক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আরও ৫ হাজার ৪৮২ টিইইউস (২০ ফুট কনটেইনার সমপরিমাণ) সংযোজনের ফলে বন্দরের মোট সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউসে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, নিয়মিত ক্যাপাসিটি এক্সপেনশনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ইয়ার্ড, শেড ও অকশন গ্রাউন্ডকে পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন অকশন ইয়ার্ড, গাড়ি সংরক্ষণ স্থান, ব্যাগেজ শেড, এক্স-ওয়াই শেড ইত্যাদি এলাকায় নতুন ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। ফলে আগের ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউসের জায়গায় এখন বন্দরের ধারণক্ষমতা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউস।
বন্দর সচিব জানান, বর্তমানে বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১২–১৩টি কনটেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে, যেখানে আগে গড়ে ১০টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হতো। এর ফলে আমদানি-রপ্তানিকারকরা দ্রুত পণ্য গ্রহণ করতে পারছেন এবং রপ্তানির লিড টাইমও কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চলমান নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্দরের ধারণক্ষমতা আরও বাড়বে—প্রায় ৬২ হাজার টিইইউস পর্যন্ত। এতে রপ্তানিমুখী প্রায় ৬ হাজার টিইইউস কনটেইনার ইয়ার্ডে প্রি-স্টেকিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও কিছু চ্যালেঞ্জ থেকে গেছে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার কনটেইনার (যার মধ্যে ১০ হাজার নিলামযোগ্য এবং ২ হাজার ঢাকা আইসিডিগামী) বন্দরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অবস্থান করছে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমেটিভ সংকটের কারণে ঢাকা আইসিডিগামী কনটেইনার পরিবহনে চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বহির্নোঙরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম এখন ০ থেকে ২ দিনের মধ্যে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত বহির্নোঙরে ৪টি কনটেইনার জাহাজ এবং ১টি জেনারেল কার্গো জাহাজ বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। বন্দরের জাহাজ টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম বর্তমানে ২ দশমিক ৫৮ দিনে নেমে এসেছে।
সামগ্রিকভাবে, চট্টগ্রাম বন্দর সক্ষমতা বাড়িয়ে কনটেইনার জট শঙ্কা কাটাতে সক্ষম হলেও, রেলপথের সীমাবদ্ধতা ও নিলামযোগ্য কনটেইনার দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে আবারও চাপ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।