
দেশের ইসলামী দলগুলো জামায়াতের ইসলামকে সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর।
তিনি বলেন, “১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদকে বৈধতা দেওয়ার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছিল জামায়াতে ইসলাম। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ-জামায়াত এক হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল একটি গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের জন্য। তাদের অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে—তারা কখনো গণতন্ত্র চায়নি, বরং সবসময় ষড়যন্ত্র করে এসেছে। আবারও সামনে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভায় জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরওয়ার আলমগীর আরও বলেন, “দেড় যুগের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হলো ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান। স্বৈরচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিরতিহীন আন্দোলনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ শিকার করেছেন, তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”
তিনি নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিএনপিতে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন চলছে। নতুন সদস্য হিসেবে যেন কোনোভাবেই ফ্যাসিস্টের দোসর অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
সভায় নাজিরহাট পৌর বিএনপির সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন এবং বিএনপি নেতা হাসানুল কবির সঞ্চালনা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, বিএনপি নেতা মনছুর আলম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মেম্বার, খালেদ মাহমুদ বাবুল, এস এম সফিউল আলম, সিরাজুদ্দৌলাহ্ চৌধুরী দুলাল, আহমদ রশিদ চৌধুরী, আমান উল্লাহ, মো. শহীদুল্লাহ্, মো. বেলাল, মহিলা নেত্রী শিউলী আকতার, আহসানুল আরফাত তোষার, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, কামরুল হাসান অপু, সালমান সোলাইমান, জিয়াউল হামনাত ফারহাদ, প্রিন্স ওমর ফারুক, মহিন উদ্দিন, আবু বক্কর চৌধুরী মহিন, নজিবুল করিম মুন্সি, মোজাম্মেল হক অভি, এমদাদুল্লাহ্ আনসারী, মোঃ ইমরান প্রমুখ।
সভা শেষে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন সরওয়ার আলমগীর।