
“মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন” এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হয়ে হাসপাতালের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলতাপ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট (চক্ষু) ডা. ফজলুল তাওহীদ চৌধুরী এবং কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. আব্দুল্লাহ আল মারুফ।
স্বাগত বক্তব্যে ডা. ফজলুল তাওহীদ চৌধুরী বলেন, “শিশুর জন্মের পর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের দুধ খাওয়ানো হলে মৃত্যুঝুঁকি ৩১ শতাংশ কমে যায়। আর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত একমাত্র মাতৃদুগ্ধ খাওয়ালে শিশুমৃত্যুর হার আরও ১৩ শতাংশ হ্রাস পায়।” তিনি ‘শালদুধের’ গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি শিশুর জন্য প্রথম টিকার মতো কাজ করে, পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. আলতাপ হোসেন বলেন, “কৌটাজাত দুধ বা গুঁড়ো দুধ শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে ডায়রিয়ার ঝুঁকি ১০ গুণ এবং নিউমোনিয়ার ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বেড়ে যায়। এছাড়া শিশুদের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, ক্যানসার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।” তিনি আরও বলেন, মাতৃদুগ্ধ শুধু শিশুর জন্য নয়, মায়ের জন্যও উপকারী। নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে এবং মানসিক প্রশান্তি তৈরি হয়।
আলোচনা সভায় মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।