
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে অন্তত কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করে কতিপয় নেতাকর্মী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা মশাল মিছিল করে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং রাত ৯টার দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসা পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা চালানো হয়, এতে কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে সেনাবাহিনীকে সহায়তায় ডাকা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীরও অন্তত ৫ জন সদস্য আহত হন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনগণের জানমাল রক্ষার্থে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও দুষ্কৃতকারীরা তা অগ্রাহ্য করে সহিংসতা চালাতে থাকে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেষ পর্যন্ত বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনা ও পুলিশ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে তারা সর্বদা কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত এবং জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।