
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডাকসুতে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, কোনও অজুহাতেই নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না, ৯ সেপ্টেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাকসু নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নির্বাচন পেছানোর সমালোচনা
সমাবেশে আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এমনভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে যেখানে নির্বাচন বন্ধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে।”
আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ
আবিদুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়ার সমালোচনা করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে ক্ষোভ ও হতাশার সুর—
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই রিটের পক্ষে যে আইনজীবী নিযুক্ত করেছেন, তিনি হচ্ছেন শিশির মনির। হে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্পষ্ট ভাষায় বলছি—আজকে থাকার কথা ছিল কবরে, কিন্তু আছি এখানে। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সেই প্রশাসনে বসেছে। তোমাকে তো কোনও দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বসানো হয়নি।”
পেছনের প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন স্থগিত বা পেছানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে ছাত্রদলসহ বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নানা কারসাজি রেখে দেওয়া হয়েছে যাতে প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করা যায়।
ছাত্ররাজনীতির উত্তাপ
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ডাকসু নির্বাচন ছাত্রসমাজের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্ধারিত তারিখে ভোট আয়োজন না হলে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।