
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত কমিশনের কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।
১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি
সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন জনগণকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। ভোটের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করেননি, বরং কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমরা চাই নির্বাচন বিষয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, তাই সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।”
রাজনৈতিক দল ও সমঝোতা
নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক হলেও সিইসি বিশ্বাস করেন, দেশের স্বার্থে তারা চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাসহ ঐক্যমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
মব কালচার ও ভোটার নিরাপত্তা
সিইসি বলেন, একসাথে ৩০০ আসনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক ভোটার এক জায়গায় জমা হবে না, তাই মব কালচারের উদ্বেগ কম। নির্বাচনের দিন ভোটাররা নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশে ভোট দিতে সক্ষম হবেন।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও আস্থা
সিইসি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম শুধু দেশের জনগণ নয়, আন্তর্জাতিক মহলও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সব ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে বিশ্ববাসী আস্থা রাখতে পারে যে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
তিনি সংযোজন করেন, প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেল বিজয়ী এবং জনগণের কাছে ওয়াদা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।