মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

সাতকানিয়ায় ক্ষেতে ঝুলছে রসালো তরমুজ, কৃষকের মুখে হাসি

মিজানুর রহমান রুবেল, সাতকানিয়া
  • শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৬১

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বারোমাসি তরমুজ চাষে নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে। কম সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সুস্বাদু ও রসালো হওয়ায় এসব তরমুজের বাজার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাইকাররা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্ষেতে মাচাই ঝুলছে বারোমাসি তরমুজ। যাতে তরমুজ ছিঁড়ে না পড়ে সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নেটের ব্যাগ। এতে ফলন নিরাপদে থাকে এবং ক্ষেতের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

কৃষক আবুল হাসেম বলেন, “এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। একেকটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়। পাইকাররা ক্ষেতেই এসে কিনে নিয়ে যায়, তাই বাজারজাত করতে আলাদা কষ্ট হয় না। এবারের চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বাজার মূল্য ঠিক থাকলে ২ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।”

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান,

২০২১ সালে প্রথম একজন কৃষক বারোমাসি তরমুজ চাষ শুরু করেন। তার সফলতা দেখে বর্তমানে ছদাহা ইউনিয়নের ৮-১০ জন কৃষক এ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পাকিজা জাতের বারোমাসি তরমুজ রোপণ থেকে বাজারজাত করতে সময় লাগে ৭০-৮০ দিন, যেখানে অন্যান্য জাতের ক্ষেত্রে সময় লাগে ৬৫ দিন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এ বছর ছদাহা ইউনিয়নে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষকেরা পাকিজা, ব্ল্যাকবেবি ও মার্সালো জাতের তরমুজ চাষ করছেন। শুরুতে এনএফএলসিসি প্রকল্পের প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই চাষ শুরু হলেও বর্তমানে কৃষকেরা নিজেরাই চাষ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সেবা দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা এ চাষে আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে একসময় এখানকার তরমুজ দেশের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো খবর