
“নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ধরনের আন্তর্জাতিক ট্রেড মিশন বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।চট্টগ্রামকে একটি ট্যুরিজম সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”—এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (CWCCI) ও এসএমই ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায় আইটিসি শিট্রেডস (ITC SheTrades)-এর উদ্যোগে UK-Bangladesh Trade Mission–এর সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ডিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে CWCCI-এর প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তাফা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের ট্রেড মিশন নারী উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে। আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা, মান এবং উদ্ভাবনী শক্তি ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। CWCCI সবসময় নারী উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব ছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ সম্ভব নয়। SME Foundation এবং ITC SheTrades-এর এই যৌথ উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় মাইলফলক।
আইটিসি শিট্রেডস হাবস এশিয়ার সিনিয়র অ্যাডভাইজার তানভীর আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে প্রবেশ এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে যুক্তরাজ্য–বাংলাদেশ ট্রেড মিশন তাদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।”
শিট্রেডস ইনিশিয়েটিভের পলিসি লিড জেম আরবো বলেন, “নারীদের প্রকৃত উপকারে আসতে হলে সরকারি ক্রয়নীতি শুধু কাগজে নয়, বাস্তবে কার্যকর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব ও ই-প্রকিউরমেন্টে নিবন্ধনের ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব কর্মশালা নারী উদ্যোক্তাদের নীতি সম্পর্কে জানাতে ও ই-জিপি সিস্টেমে যুক্ত হতে সহায়তা করছে।”
ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডসন বলেন, “শিট্রেডস কমনওয়েলথ+ প্রোগ্রামের এই ট্রেড মিশন যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। দক্ষ নারী উদ্যোক্তাদের যুক্তরাজ্যের ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে দুই দেশের জন্য নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরি হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ পান রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম এবং SME ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে CWCCI-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. মুনাল মাহবুব একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। শেষে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট লুৎমিলা ফরিদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, CWCCI-এর পরিচালনা পর্ষদ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।