
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার ভোগ করবে, এটাই বিএনপির নীতি ও রাজনীতি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে তত্ত্ব প্রবর্তন করেছিলেন, তার মূল লক্ষ্যই ছিল সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘুর বিভাজন নয়, বরং সকলকে বাংলাদেশি পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ করা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর জেএমসেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই, সব ধর্মের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একসাথে বসবাস করুক এবং উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করুক। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এটাই আমাদের ঐতিহ্য।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেওয়া উপহার হয়তো সামান্য, কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের আনন্দে অংশ নিতে চাই। সকলে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব উদযাপন করুন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আর কে দাশ রুপু এবং সঞ্চালনা করেন কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, টেরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, জেলা সৎসঙ্গের সভাপতি অনিল চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক সুমন ঘোষ বাদশা, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দাশ, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব বাবলু কুমার নাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে যুবদল, ছাত্রদল ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।