
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ভিত্তিতে যে জাতীয় অর্থনৈতিক দর্শন তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা-ই বর্তমান সংকট উত্তরণের মূল চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার নির্দেশনায় কৃষি বিপ্লব বাংলাদেশের খাদ্য স্বনির্ভরতার পথ সুগম করেছিল। যদি আমরা আবারও অর্থনৈতিক মুক্তি চাই, তবে কৃষি ও উৎপাদনমুখী অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল আসলে অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চন্দনাইশের হারলা গ্রামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বরুমতি খাল খননের সময় বিশ্রাম নেওয়া সেই ঐতিহাসিক স্থানে পুনঃনির্মিত স্মৃতিফলক ও নবনির্মিত বৈঠকখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন স্মৃতিচারণ করে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ১৯৭৭ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে খাল খনন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই তিনি চন্দনাইশের বরুমতি খালের উদ্বোধন করেছিলেন।
তিনি জানান, দেড় বছরে এক হাজার ৫০০টির বেশি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, যা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৭৯-১৯৮১ সালের মধ্যে মোট ২৭৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৬৩৬ মাইল খাল খনন করা হয়। এর ফলে ১৯৮০ সালে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক অগ্রগতি হয় এবং গ্রামীণ স্বনির্ভরতা বাড়ে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, খাল ও নদী দখল, দূষণ এবং প্লাস্টিক-পলিথিনের স্তর পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে। কর্ণফুলি, হালদা ও সাঙ্গু নদী রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামী প্রজন্ম ভয়াবহ সংকটে পড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. ইখতিয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।