
চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের হযরত আকবর শাহ রাস্তার মাথা থেকে যুগের চাঁদ বাড়ি হয়ে জাফর আলীর বাড়ি পর্যন্ত দেওয়ানহাট-বৈলতলী সংযোগ সড়কটি আজও যেন জনদুর্ভোগের আরেক নাম। দুই দশক ধরে কোনো টেকসই সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বহুবার শোনা গেলেও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্ষার সময় খানাখন্দে জমে থাকা কাদা-পানিতে রাস্তা পরিণত হয় কাদার পুকুরে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্যই এটি হয়ে উঠেছে এক ভয়ংকর যাতায়াত পথ।
প্রতিদিন শতাধিক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও রোগীকে এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কাদা ও ভাঙাচোরা রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি হলে অনেক সময় তাদের জুতা হাতে নিয়ে হাঁটতে হয়।
অসুস্থ রোগী বা জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে বের হওয়াও একপ্রকার অসম্ভব। কোনো রিকশা বা অটোরিকশা এই রাস্তায় চলতে চায় না। বাধ্য হয়ে অনেকেই খরচ বাড়িয়ে বিকল্প পথে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ও আবু তালেব জানান, “আমরা বহুবার নিজের টাকায় ভাঙা অংশে বালু ও ইট ফেলে রাস্তাটা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সব আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। অনেকবার পৌরসভায় লিখিত আবেদন করেও কোনো স্থায়ী সমাধান পাইনি।”
এলাকার জনগণ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা এই রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর কেউ আর ফিরে তাকান না। উন্নয়নের বন্যায় দেশ এগোলেও এই এলাকার মানুষ এখনো কষ্টে দিন পার করছেন।
দোহাজারী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়দের প্রশ্ন— “কত বছর অপেক্ষা করলে এই সড়কে পাকা উন্নয়ন কাজ শুরু হবে?” স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে সড়কটির টেকসই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, পৌর প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, যাতে বহু বছরের এই জনদুর্ভোগের অবসান ঘটে।