
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় অবস্থিত এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পকে ঘিরে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কন্ট্রাক্টরদের অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে জমি ক্রয়, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন কাজে যুক্ত অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শত শত কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে এন এস এন কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এবং এস আলম গ্রুপ–এর কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপ পুরনো কন্ট্রাক্টরদের বকেয়া পরিশোধ না করে নতুন প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানোর চেষ্টা করছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পাওনাদার ও এলাকাবাসী।
১০ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে গণ্ডামারা এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন—
১️, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ, মৎস্য ও লবণচাষিদের ক্ষতিপূরণ ও সকল বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
২️, পূর্বে কাজ করা কন্ট্রাক্টরদের বাদ না দিয়ে এন এস এন কনসোর্টিয়াম লিঃ–এর মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতে হবে।
৩️, যদি নতুন কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করানো হয়, তবে পুরনো কন্ট্রাক্টরদের সব পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।”
এন এস এন কনসোর্টিয়াম লিঃ–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, “২০১২ সাল থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে জমি ক্রয়, বন্দোবস্ত ও বালুভরাটসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করেছি। কিন্তু এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার বকেয়া এখনও পরিশোধ হয়নি। ফলে ব্যাংক, কন্ট্রাক্টর ও স্থানীয়দের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত—ইনশাআল্লাহ শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।”
তিনি আরও জানান, পাওনা টাকা না পেয়ে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টর, ব্যাংক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা তার এবং কোম্পানির নামে একাধিক মামলা করেছেন, যা প্রকল্পের স্থিতিশীলতায় বাধা সৃষ্টি করছে।
এদিকে এস আলম গ্রুপ ও এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের মতে, প্রকল্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে—
বকেয়া টাকা পরিশোধ,
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন,
এবং এন এস এন কনসোর্টিয়াম লিঃ–এর মাধ্যমে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে প্রকল্পের কাজ চালানো জরুরি।
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে এলাকায় পুনরায় অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।