
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব ও এর কয়েকজন সদস্যকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রেস ক্লাব ও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।
বিবৃতিতে মোক্তার হোসেন জানান, “দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা অভিযোগ করে আসছিলেন আমিরাবাদ স্কুল রোড এলাকায় একটি অস্বাস্থ্যকর ও অনুমোদনহীন ভেজাল মিষ্টির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সাংবাদিক হিসেবে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাই এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ চৌধুরী বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারখানাটিকে জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ ভেজাল মিষ্টি ধ্বংস করে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ওই ঘটনার পর থেকেই কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”
মোক্তার হোসেন আরও বলেন, “সংবাদকর্মীরা জনস্বার্থে তথ্যের ভিত্তিতে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন। এখন প্রায় সব জায়গাতেই সিসি ক্যামেরা থাকে—তাতে সংবাদকর্মীরা দায়িত্ব পালনে গেলে সেটি অপরাধ নয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের তথ্য প্রচার সাংবাদিকতার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে।”
তিনি সকলকে বিভ্রান্তিকর ও যাচাইবিহীন তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের অপপ্রচার শুধু আমাদের সংগঠনের সুনামই নষ্ট করছে না, বরং সমাজে সাংবাদিকতা পেশাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতিমধ্যে অপপ্রচারের ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। যারা এই মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন, আল্লাহ তাঁদের হেদায়েত দান করুন।”
প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জানান, সত্যের পক্ষে ও অন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থানই সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি, ভবিষ্যতেও সেই চেতনায় কাজ করে যাবেন ইনশাল্লাহ।