
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী ও অবৈধ ভ্রমণ রোধে গঠিত ২৩টি বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে গত সাত দিনে কঠোর অভিযান চালিয়ে মোট ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায় করেছে। রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৪ অক্টোবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়ন ও টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ১২ অক্টোবর ২০২৫ (রবিবার) পর্যন্ত টাস্কফোর্স বিনা টিকিটে ভ্রমণ, অন্যের আইডি ব্যবহার করে ক্রয়কৃত টিকেটে ভ্রমণসহ নানা অপরাধে জরিমানা ও টিকিটের প্রকৃত মূল্য আদায় করেছে। মোট সংক্ষেপিত অর্থসংহার নিম্নরূপ — জরিমানা: ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা, টিকিটের প্রকৃত মূল্য: ১২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা, মোট: ১৭ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা।
প্রধান তথ্য ও কর্মকান্ড
অভিযান শুরু: ৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে।
হিসাবের শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
টাস্কফোর্স সংখ্যা: মোট ২৩টি (পূর্বাঞ্চল ১৩টি, পশ্চিমাঞ্চল ১০টি)।
শনাক্তকৃত যাত্রী: বিনা টিকেটে ৬,২৭৮ জন; অন্যের আইডি ব্যবহার করে ভ্রমণকারী ১,৮৫৩ জন।
মোবাইল নম্বর ব্লক করার সুপারিশ: ৫৩টি নম্বর।
পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পৃথক ফলাফল
পূর্বাঞ্চল:
বিনা টিকিট যাত্রী: ৩,২৫৭ জন।
অন্যের আইডি ব্যবহারকারী: ৯৮৬ জন।
আদায়কৃত অর্থ: নিয়মিত ভাড়া ৪,৭১,৬৫০ টাকা; জরিমানা ২,০৬,৪১৫ টাকা; মোট ৬,৭৮,০৬৫ টাকা।
পশ্চিমাঞ্চল:
বিনা টিকিট যাত্রী: ৩,০২১ জন।
অন্যের আইডি ব্যবহারকারী: ৮৬৭ জন।
আদায়কৃত অর্থ: নিয়মিত ভাড়া ৭,৫৪,০০০ টাকা; জরিমানা ২,৯০,৮৭১ টাকা; মোট ১০,৪৮,৩০৭ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে যে টাস্কফোর্সের সদস্যরা যাত্রীর মুদ্রিত নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও যাত্রী প্রদর্শিত পরিচয়পত্র যাচাই করে নিয়মিত চেকিং পরিচালনা করছেন। রেলওয়ে জানিয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম রুটভিত্তিক টিকেট চেকিংয়ের অতিরিক্ত হিসেবে চলবে এবং টিকেটবিহীন বা অন্যের টিকেটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আইন অনুসারে জেল-জরিমানা কার্যকর হবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে টিকিট কালোবাজারীর সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ হয় — বিশেষত অনৈতিকভাবে টিকিট বিক্রি বা হস্তান্তরে লিপ্ত মোবাইল নম্বরসমূহ — তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মাধ্যমে ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
টিকিট কালোবাজারী ও জাল/অবৈধ টিকিট ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের ভোগান্তি বাড়ায় এবং নির্ধারিত ভাড়ার বিকলরণ ঘটায়। রেলওয়ের এ উদ্যোগ ভ্রমণকারীদের জন্য ন্যায্য টিকেট ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও অবৈধ আর্থিক লেনদেন বন্ধে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, অভিযানকে ধারাবাহিক রাখা হলে টিকিট কালোবাজারী কমে আসবে এবং যাত্রীসেবা উন্নত হবে।
সংক্ষেপে (শিরোনামের জন্য ছোট টুকি): টাস্কফোর্সের অভিযান: ৬ দিন অভিযান চলাকালে ৬,২৭৮ জন বিনা টিকিট ও ১,৮৫৩ জন অন্যের আইডি ব্যবহার করে ভ্রমণকারী শনাক্ত; আদায় ১৭.২৬ লাখ টাকা; ৫৩টি মোবাইল নম্বর ব্লক হওয়া উচিৎ—রেলওয়ে সুপারিশ।
আপনি চাইলে আমি এই প্রতিবেদনটি সংবাদপত্রের দুই-কলাম ফরম্যাটে, অনলাইন হেডারে উপযোগী সংক্ষিপ্ত ভার্সনে, অথবা ফেসবুক/টুইটারের ক্যাপশনে সাজিয়ে দিতে পারি। কোনটি পছন্দ করবেন?