কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ কুখ্যাত ‘জিয়া বাহিনীর’ ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর ২০২৫) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়—মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী স্থানীয় লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘোনা অবৈধভাবে দখল করে জনসাধারণকে জিম্মি করে রাখে। প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন কোস্ট গার্ডকে অবহিত করলে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়।
পরবর্তীতে শনিবার দুপুর ১২টায় কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে সামিরা ঘোনা, মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, নয়া পাড়া ও টেক পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৮টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৮ রাউন্ড তাজা গোলা, ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি ম্যাগাজিন, ১৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসময় ‘জিয়া বাহিনী’ পরিচয়ে সক্রিয় ৯ জন সদস্যকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—মোহাম্মদ আলী (৫৪), মানিক (২৭), গিয়াস উদ্দিন (৫৯), সালাউদ্দিন (২৭), শহিদুল্লাহ (৫২), সবুজ (২৭), আতিকুর রহমান (৩২)—সকলেই কালারমারছড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া রিজওয়ান (২৪) ও নাদিম উদ্দিন (৩৫) হুয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জব্দ করা আলামত এবং আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে কোস্ট গার্ড জানায়।