
শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশনে অনুসমর্থন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে করে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলওর সবগুলো মৌলিক (বেসিক) কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হলো।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন অনুসমর্থন পত্রে স্বাক্ষর করেন।
যে তিন কনভেনশনে অনুসমর্থন
কনভেনশন ১৫৫: পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (১৯৮১)
কনভেনশন ১৮৭: নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার কাঠামো (২০০৬)
কনভেনশন ১৯০: কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ (২০১৯)
এর মধ্যে ১৫৫ ও ১৮৭ — আইএলওর ‘মৌলিক কনভেনশন’ হিসেবে বিবেচিত।
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন—
“এক দশক ধরে আমরা শুনেছি — হবে, করা হবে, ভাবা হচ্ছে। আজ থেকে সেই সংস্কৃতি বন্ধ। আমরা বলছি — করা শুরু হয়েছে। স্বাক্ষর মানে শেষ নয়; বরং বাস্তবায়নের পথচলা এখন শুরু।”
তিনি আরও বলেন — “নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এখন আর মানবিক দায় শুধু নয় — এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতারও শর্ত।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোন বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক অগ্রগতি” মন্তব্য করে বলেন —“কনভেনশন বাস্তবায়নে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকবো। নির্বাচনের আগে একটি ‘জাতীয় শ্রম সনদ’ গ্রহণে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রত্যাশা করছি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এবং শ্রম সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া।