
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে পাহাড়তলীর সিনিয়র সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (কারখানা) শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে — সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও প্রমাণবিহীন দাবি করে তিনি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ভিডিওটি এডিট ও বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে, যাতে তার ব্যক্তিগত সুনাম, সরকারি দায়িত্ব ও রেলওয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
ভিডিও সম্পাদিত ও প্রাসঙ্গিকতা বিকৃত — অভিযোগিত ভিডিওর সম্পূর্ণ অংশ প্রচার করা হয়নি; কথোপকথনের কিছু অংশ কেটে মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ছড়ানো হয়েছে।
বদলী/নিয়োগ/পদোন্নতি বাণিজ্য অস্বীকার — শেখ ফরিদ স্পষ্টভাবে জানান, তিনি কখনো বদলী, নিয়োগ বা পদোন্নতির বিনিময়ে কারো নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করেননি; এসব অভিযোগ অসত্য।
ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ ভিত্তিহীন — সরকারি প্রকৌশলী হিসেবে তিনি নীতি-নৈতিকতা মেনে দায়িত্ব পালন করেন; ঠিকাদারদের কাছ থেকে “কমিশন” নেওয়ার অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত।
অপপ্রচারের পেছনে স্বার্থান্বেষী মহল সক্রিয় — কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পেজ ও ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টার্গেট করে সাজানো অপপ্রচার চালায় এবং পরবর্তীতে “খবর নামানোর” নামে আর্থিক দরকষাকষি করে থাকে।
অভিযোগকারীর মতে ঘটনাটি মীমাংসিত — অভিযোগে যাঁর নাম এসেছে (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি) তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন: (ক) ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছে, (খ) প্রকাশের আগে অনুমতি নেওয়া হয়নি, (গ) উভয় পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি উক্ত দিনেই মীমাংসিত হয়।
এই তথ্যগুলো নির্দেশ করে যে — ভিডিও প্রচারকারী তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশ্য ছিল মানহানি সৃষ্টি।
রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা — শেখ ফরিদের মতে, এসব ভিত্তিহীন অপপ্রচার কেবল ব্যক্তিগত নয় — বরং সরকারি অফিসারদের হেনস্তা করে রেলওয়ের কাজে বিঘ্ন ঘটানো, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং প্রশাসনিক অনিশ্চয়তা তৈরি করা উদ্দেশ্য।
অভিযোগকারী নিজেই জানিয়েছেন বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না; প্রকাশের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত প্রমাণ, আর্থিক নথি, অফিসিয়াল তদন্ত বা সাক্ষ্যপ্রমাণে শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
ভিডিও কাটাছেঁড়া ও প্রাসঙ্গিকতা বিকৃত করে প্রচার — সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী এবং আইনের চোখে অসদাচরণ গণ্য হতে পারে।
প্রকাশিত ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারণা — যাচাইহীন, আংশিক ও প্রণোদিত — যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুনামহানি ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগকারীর মীমাংসার স্বীকারোক্তি, প্রমাণহীন অভিযোগ এবং এডিটিংয়ের দাবির প্রেক্ষিতে — শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিষয়গুলোকে অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যমূলক চরিত্রহনন হিসেবে গণ্য করা যায়। সরকার ও রেলওয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় — এ ধরনের প্রচারণার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হচ্ছে।