
চট্টগ্রাম বন্দর, শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম দেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হলেও চট্টগ্রামের উন্নয়ন ততটা অগ্রাধিকার পাচ্ছে না — এমন মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেন, এই বৈষম্য দূর করতে ব্যবসায়ীদের এক ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠই হতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি।
২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আগ্রাবাদের গোল্ডেন টাচ কমিউনিটি সেন্টারে “চট্টগ্রাম উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী সমাজ।সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের শিল্প-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ও রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আয়ের বড় অংশ এই শহরের ওপর নির্ভরশীল। তবুও নানা প্রশাসনিক জটিলতা, ভ্যাট–ট্যাক্স সংক্রান্ত হয়রানি এবং বন্দর কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতায় ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আসন্ন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’-এর প্যানেল লিডার এস. এম. নুরুল হক সভায় বলেন, ব্যবসায়ীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত ও ব্যবসায়িক পরিবেশকে গতিশীল করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভ্যাট, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, পরিবহন ও কাস্টমস সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয়ের ওপর তিনি জোর দেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একটি স্থায়ী সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাবও করেন।
ওয়াহিদুল মুরাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— মো. কামরুল হুদা, মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এসএম কামাল উদ্দিন, এটিএম রেজাউল করিম, আহমেদ রশিদ আমু, আহমেদ-উল আলম চৌধুরী (রাসেল), ইমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইমরান এফ. রহমান, মো. আবচার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী এবং মোহাম্মদ মুছা।
সভায় বক্তারা একমত হন, চট্টগ্রামকে একটি ব্যবসাবান্ধব ও আধুনিক বাণিজ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ব্যবসায়ীদের ঐক্য, প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার সমন্বয়ই হতে পারে প্রধান উপাদান।