
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বিএনপি কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা জাতিগোষ্ঠীর দল নয়; এটি বাংলাদেশে বসবাসকারী সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের দল। বিএনপি সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাসী এবং একটি ইনক্লুসিভ, সবার জন্য সমান সুযোগের বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির ১৬ নম্বর দফায় ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তার অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে। “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার”—এই মূলমন্ত্র সামনে রেখে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মাবলম্বীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়স্থ চট্টগ্রাম জেলা সৎসঙ্গ আশ্রমে সনাতনী নারী শক্তির আয়োজনে সনাতনী নারী সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘নারী উন্নয়ন, রেইনবো ন্যাশন এবং সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন।’
আবুল হাশেম বক্কর আরও বলেন, “ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, গোত্র নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি। স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার শুধু বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করায় অনেক ভাষা, সংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সব ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠা করে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন।”
তিনি উপস্থিত সবাইকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সহায়তার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা সৎসঙ্গ আশ্রমের মা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা ঝিনু প্রভা দাশ এবং পরিচালনা করেন নয়ন মনি দাশ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ, জেলা সৎসঙ্গের সিনিয়র সহ-সভাপতি সজিব সিংহ রুবেল,বেসরকারি কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস,জেলা সৎসঙ্গের সহ-সভাপতি তপন কান্তি দত্ত,সাধারণ সম্পাদক সুমন ঘোষ বাদশা,যুগ্ম সম্পাদক লায়ন অনিমেষ রায় চৌধুরী,যুগ্ম সম্পাদক অমল দাশ, বিভু চক্রবর্তী প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাপড়ি কারন, লিপি তালুকদার, রুদ্র কেয়া চৌধুরী, সুচিতা ধর, শেলী বিশ্বাস, মীরা খাস্তগির, কৃষ্ণা পাল, শেফালী শীল, অঞ্জনা দে সহ সনাতনী নারী সমাজের প্রতিনিধিরা।