
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন বিলম্ব ও নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ।
১ নভেম্বর (শনিবার) সকালে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেন।
সমাবেশে ব্যবসায়ীরা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের প্রতীকী ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন—দ্রুত ভোটের তারিখ ঘোষণা না করলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
“হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে হবে, আর দেরি নয়”—এস এম নুরুল হক। কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান মহিউদ্দিন।
প্যানেল লিডার এস এম নুরুল হক তার বক্তব্যে বলেন—
“হাইকোর্ট সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, অবৈধ ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপকে বাদ দিয়ে অর্ডিনারি ও অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। কোনো চক্রান্ত করে নির্বাচন বিলম্ব করলে ব্যবসায়ীরা তা মেনে নেবে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একটি গোষ্ঠী ভুয়া ভোটার ও প্রভাব খাটিয়ে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাদের ‘ভুয়া ভোটাধিকার’ বাতিল করা হয়েছে।
“এখন আর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক চেম্বার চাই আমরা,”
—যোগ করেন তিনি।
১৫ দিনের আল্টিমেটাম ও ধারাবাহিক কর্মসূচির ঘোষণা
সমাবেশ থেকে তিন দফা কঠোর ঘোষণা দেওয়া হয়—
১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করে ভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
চেম্বারের নেতৃত্ব ব্যবসায়ীরা ঠিক করবেন, কোনো গ্রুপ বা টাউন অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে অটো পরিচালক বানানোর পথ বন্ধ করতে হবে।
নির্বাচন না হলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী সমাজকে নিয়ে গণআন্দোলনের সূচনা করা হবে।
আগামী রোববার আন্দরকিল্লা থেকে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, টেরিবাজারসহ প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান—“ভোট না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে।”
অবৈধ ট্রেড ও টাউন গ্রুপের মাধ্যমে ছয়জন বিনাভোটে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র চলছে।
এই ছয় প্রার্থীর মনোনয়ন দুই সপ্তাহের মধ্যে বাতিলের দাবি।
স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ছাড়া নির্বাচন নয়।
চেম্বারকে ফ্যাসিবাদী প্রভাব ও পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন—মো. কামরুল হুদা, মো. আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এস. এম. কামাল উদ্দিন, আহমেদ-উল আলম চৌধুরী (রাসেল), ইমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইমরান এফ রহমান, মো. আবচার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী ও মোহাম্মদ মুছাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।