
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় জনগণকে সংগঠিত ও সচেতন করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাদের মতে, ব্যবসায়ীরা সংগঠিত থাকলেও ভোক্তারা ছ散বিক্ষিপ্ত ও উদাসীন; ফলে প্রতিনিয়ত তারা প্রতারিত হচ্ছে এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ–চবি আয়োজিত “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন–২০০৯” শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে।
সভাপতিত্ব করেন ক্যাব যুব গ্রুপ–চবি’র সভাপতি ও চাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তৌহিদ।
প্রধান অতিথি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।
বিশেষ অতিথি:
এস এম নাজের হোসাইন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটি, জেসমিন সুলতানা পারু, সভাপতি, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর, মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর, আনিসুর রহমান ও রানা দেব নাথ, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন তাসনুভা শারমিন এরা ও তাহিয়াত চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাব যুব গ্রুপ–চবি’র সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন,“বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হলেও এখানেও ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন ঘটে। এসব সমস্যা সমাধানে চাকসু, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ক্যাব যৌথভাবে কাজ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় ক্যাব–এর মতো সংস্থাগুলোর আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকি ও প্রয়োগক্ষমতা আরও জোরদার করতে হবে, যাতে ভোক্তাদের প্রতারণা ও হয়রানি কমে।
মূল প্রবন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন–২০০৯ এর বাস্তব প্রয়োগ, ভোক্তার অভিযোগ দাখিলের পদ্ধতি, আইনি চ্যালেঞ্জ, প্রতিকার ও সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল তুলে ধরা হয়। বক্তারা একমত হন—“সচেতন ভোক্তাই ন্যায্য অধিকার আদায়ের মূল শক্তি।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন ২০২৫–২৬ মেয়াদের ক্যাব যুব গ্রুপ–চবি’র নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নেতৃত্বে থাকছেন:
সভাপতি: মো. রোজাইন আল রাফি,সাধারণ সম্পাদক: তানজিম আশরাফ রাতুল, সংগঠনিক সম্পাদক: তাহিয়াত চৌধুরী, অফিস ও জনসংযোগ সম্পাদক: তাসনোভা শামীম এরা, প্রেস ও মিডিয়া সম্পাদক: রাতুল আহমেদ, পাশাপাশি কমিটিতে ১১টি পদে আরও দায়িত্বশীল সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পরে বিদায়ী কমিটির সদস্যদের ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়।