শাহ আমানত (রাঃ) সেতুর বেআইনি, অবৈধ ও অসাংবিধানিক টোল প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় সেতুর টোল প্লাজার সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিকালে কর্ণফুলী নাগরিক পরিষদ, সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতি এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (চট্টগ্রাম জেলা শাখা)-এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস. এম. ফোরকান এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ. এইচ. এম. জসিম উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, শাহ আমানত সেতুর টোলের কারণে কর্ণফুলী দক্ষিণ পাড়ের সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁরা বলেন, “জনগণের করের টাকায় নির্মিত এই সেতুতে পুনরায় টোল আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। সরকার অবিলম্বে টোল প্রত্যাহার করে সেতুটি উভয় পাড়ের মানুষের জন্য টোলমুক্ত ঘোষণা করুক।”
বক্তারা আরও বলেন, “এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের নয়; এটি জনগণের ন্যায্য অধিকার রক্ষার আন্দোলন। কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের মানুষ যেন সমানভাবে উন্নয়ন সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেটিই আমাদের দাবি।”
সমাবেশে সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান ঘোষণা করেন, আগামী ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচি’ পরিচালিত হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়িত না হয়, তবে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এসময় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মো. রফিক সিকদার, সাংবাদিক শফিক আহমেদ সাজিব, এইচ. এম. হারুন-অর রশিদ (লাল গোলাপ), ব্যাংকার মোহাম্মদ মেহেরাব হোসেন খান, ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ মধু, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ সোলাইমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. নুরুল আবছার চৌধুরী, যুবনেতা মো. সেলিম, ছাত্রনেতা জিন্নাহ ইবনে মো. আল ওবায়েদ, মো. ইকবাল, অ্যাডভোকেট মো. হারুন, অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ নাগরিক মানববন্ধনে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা “টোল প্রত্যাহার করো, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দাও” স্লোগান দিয়ে শাহ আমানত সেতুকে সম্পূর্ণ টোলমুক্ত ঘোষণার দাবি জানান।