
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নদভী এবং ইয়াবা কারবারি হিসাবে কুখ্যাত সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠ এনামুল হককে মনোনীত করেছে শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ঝড়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেকেই লিখছেন— “বিদ্যালয়টির শতবর্ষের ঐতিহ্য আজ প্রশ্নবিদ্ধ হতে যাচ্ছে। শিক্ষাবান্ধব ও নিরপেক্ষ একজন মানুষকে সভাপতি না করে বিতর্কিত ব্যক্তিকে বসানো মানে শিক্ষাঙ্গনের অবমাননা।”

অভিভাবকদের উদ্বেগ
বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, “আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুষ্ঠু পরিবেশে পড়াশোনা করুক। কিন্তু একজন বিতর্কিত মানুষ সভাপতি হলে শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে, রাজনীতি ঢুকে পড়বে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“আমরা এই প্রতিষ্ঠানের গৌরবময় ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। কিন্তু যাকে সভাপতি করা হলো, তার অতীত কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে পরীক্ষামূলক রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার।”
সচেতন মহলের দাবি
এলাকার সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা না করা হলে বিদ্যালয়টি নানা সংকটে পড়তে পারে। তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একজন যোগ্য, সৎ ও শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিকে সভাপতি করা হোক।
বিদ্যালয়ের সভাপতির মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়েছিল। সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ড এনামুল হককে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু তার রাজনৈতিক অতীত ও বিতর্কিত সংশ্লিষ্টতার কারণে পুরো লোহাগাড়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।