
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান মহিউদ্দিন বলেন, “এই নির্বাচন “এটি শুধু নির্বাচন নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনের আন্দোলন” — মতবিনিময় সভায় বক্তারা নেতৃত্ব পরিবর্তনের নয়, বরং একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনের আন্দোলন। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারবেন।”
প্যানেল লিডার এস. এম. নুরুল হক বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। আমরা চাই এমন একটি চেম্বার, যা শুধু বড় শিল্পপতিদের নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরও পাশে থাকবে। ব্যবসায়ীদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা এবং কর–ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করাই হবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য।”
তিনি আরও দাবি করেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস। অথচ এই অঞ্চলের উন্নয়নে বরাদ্দ কম। বন্দরের মোট আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হবে।”
মো. কামরুল হুদা বলেন, “ব্যবসায়ীরা শুধু অর্থনীতির চালিকা শক্তি নয়, তাঁরা সমাজ উন্নয়নেরও অগ্রণী অংশীদার। স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে ব্যবসায়ীদের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি।”
বক্তারা আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হলে নিম্নোক্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন—
কর, ভ্যাট ও আমদানি-রপ্তানি জটিলতা নিরসনে কার্যকর লবিয়িং
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা সহায়তা ডেস্ক
শিল্প অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে নীতিগত চাপ সৃষ্টি
পোর্ট–সিটি সংযোগ ও যানজট সমস্যা সমাধানে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা
চেম্বারকে সব শ্রেণির ব্যবসায়ীর স্বার্থরক্ষার নিরপেক্ষ মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠা
বন্দরের আয়ের কমপক্ষে ১০% চট্টগ্রাম উন্নয়নে বরাদ্দের দাবি আদায় আন্দোলন।
বক্তারা আরও বলেন, “চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্প অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন— মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এসএম কামাল উদ্দিন, এটিএম রেজাউল করিম, আহমেদ রশিদ আমু, আহমেদ-উল আলম চৌধুরী (রাসেল), ইমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইমরান এফ. রহমান, মো. আবচার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী ও মোহাম্মদ মুছা।
বক্তারা বলেন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ একটি ব্যবসায়ী বান্ধব চেম্বার গঠনের প্রত্যয়ে নির্বাচন করছে, যা সকল শ্রেণির উদ্যোক্তার স্বার্থ রক্ষা করবে এবং চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের বাণিজ্যিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে।