
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন কানাডার টরন্টো শহরে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল মোঃ ফারুক হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার, পেশাদার সহযোগিতা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উভয়পক্ষ উল্লেখ করেন, কানাডায় বাংলাদেশি সব পণ্য শুল্কমুক্ত হলেও বর্তমানে এই সুবিধা কেবল তৈরি পোশাক খাতেই কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে। অন্যান্য শিল্প খাতকে এই সুবিধা ব্যবহারে উৎসাহিত করা জরুরি বলে মত দেন তারা।
বাণিজ্য প্রসারে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
উচ্চ শিপিং খরচ বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়। বাল্ক শিপিং কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এ খরচ হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
কানাডায় বাংলাদেশি প্যাকেজড ও ফ্রোজেন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়লেও, কানাডিয়ান খাদ্য সনদপত্র পাওয়ার জটিলতা—বিশেষত বিএসটিআইয়ের মানদণ্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব—প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের জুট পণ্যের চাহিদা থাকলেও চীনের সস্তা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাটা কঠিন বলে মত দেন তারা। মানোন্নয়ন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তাব উঠে আসে।
ব্যক্তিগত পরিচর্যা ও নার্সিং পেশায় বাংলাদেশি পেশাজীবীদের জন্য কানাডায় উল্লেখযোগ্য সুযোগ রয়েছে। তবে, নার্সিং কলেজগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে জটিলতা বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও সম্ভাবনা
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সম্ভাবনা থাকলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এ খাত কিছুটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন এবং কনসুলেট জেনারেল মোঃ ফারুক হোসেন ভবিষ্যতে এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।