
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শুক্রবার (১১জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী মোড় হয়ে আলাওল এবং এ.এফ রহমান হল প্রদক্ষিণ করে আবারো জিরো পয়েন্টে এসে বক্তৃতার মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার ভাই মরলো কেন? তারেক জিয়া, জবাব দে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘জ্বালিয়ে দাও, গুড়িয়ে দাও সন্ত্রাসীদের ঠিকানা’, ‘বিএনপির অনেক গুণ, ১০ মাসে ১০০ খুন’, ‘পাথর মেরে করছে খুন, বিএনপির অনেক গুণ’—ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন,” মিটফোর্ডে চাঁদার জন্য ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে থেঁতলিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদল নেতাকর্মীরা। দেশের ছাত্রসমাজ বিএনপি ও তাদর অঙ্গ সংগঠনের অপকর্মকে আর সহ্য করবে না। বাংলাদেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ এই খুনিদের বিচার চায়।”
এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “গত জুলাইয়ের মতো এই জুলাই এতটা কঠিন নয়। তোমাদের পাথর আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তোমরা যতবার পাথর মারবে, আমরা ততবার রুখে দাঁড়াব। নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস এবং খুনিদের ঠিকানা হবে না। তোমরা যতবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, আমরা ততবার তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেব। তোমরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যে বর্বরতা শুরু করেছ, তা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়। আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, নয়তো হাসিনার মতো চলে যেতে হবে।”
বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক তাহসান হাবীব বলেন, “আবারও জুলাইয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখতে হচ্ছে নৃশংসতা। এই দেশ আর আগের মতো নেই—কেউ যদি স্বৈরাচার হতে চায়, তাহলে তাকেও হাসিনার মতো দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা ইন্টেরিম সরকারের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলতে চাই—যদি আপনারা সঠিক বিচার করতে না পারেন, তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। আমরা যেমন গত জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছি, দরকার হলে আবারও দেব। তবু বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করব।”